Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

‘রাখিব নিরাপদ’  ‘দেখাব আলোর পথ’

জেলা কারাগার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর তথ্য বাতায়নে স্বাগতম।


শিরোনাম
কারাগারের উন্নয়ন
বিস্তারিত

কারাগারকে সংশোধনাগারে রুপান্তরের লক্ষ্যে কারা অধিদপ্তরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিম্নরুপ :


২০১৬ সালের ৪ জুন ৪র্থ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় প্রিজন অ্যাক্ট সংশোধনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৫ম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তরে লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারা সংশোধন পরিষেবা আইনে প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক কারাবন্দিদের সংশোধনের বিষয় অন্তর্ভূক্ত করে কারা আইনকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ‘কারা ও সংশোধন পরিষেবা আইন ২০২২ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।


কারা অধিদপ্তরের জনবলে মনোবিজ্ঞানী, সমাজকল্যান কর্মকর্তা, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টসহ ২৬ জন চিকিৎসা কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্তর্ভূক্ত করে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।


কারাগারে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে জানুয়ারি, ২০১৬ সাল থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্রগ্রাম বিভাগ্রস্থ ৩২ টি কারাগারে বিভিন্ন নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও স্থাপন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৫ টি বিভাগের একই ধরণের ২ টি প্রকল্প (রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জন্য ১টি এবং খুলনা, বরিশান ও সিলেট বিভাগের জন্য ১ টি) গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


২০১৬সালে কারাগারসমূহে বন্দি ধারণক্ষমতা ছিলো ৩৬,৬১৪ জন। পরবর্তীতে নতুন ৫ টি কারাগার উদ্বোধন এবং ১২ টি কারাগার সম্প্রসারণের ফলে কারাগারের বন্দি ধারণক্ষমতা ৬,০১২ জন বৃদ্ধি পেয়ে ৪২,৬২৬ জনে উন্নীত হয়েছে।


বর্তমানে ৬টি কারাগার নির্মান/পুনঃ নির্মান কাজ চলমান রয়েছে যা সমাপ্ত হলে কারাগারে বন্দি ধারণক্ষমতা ৫২৫৫ জন বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে বন্দিদের আবাসন সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে।


নবনির্মিত কারাগারসমূহে কারা কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আবাসনের ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া মহিলা কারারক্ষীদের আবাসনের সংকট নিরসনে ৩৯৯টি ফ্ল্যাট নির্মান করা হয়েছে।


কারাগারসমূহে সংশোধনমূলক কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত করণের লক্ষ্যে ২০১৬ সাল হতে এ পর্যন্ত ২৪১ জন কর্মকর্তা ২২ টি দেশে কারাগার ভিজিট ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া কারাগার ও বন্দি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন সহায়ক প্রতিষ্ঠান (GIZ, UNOCC, ICRC, আহসানিয় মিশন) এর মাধ্যমে ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন (৮৫৮৪) জন।


কারা বন্দিদের সাজা যথাযথভাবে বাসত্মবায়ন, পুনর্বাসন এবং সমাজে পুনঃ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিআইজেড এর সহায়তায় Sentence Planning Frameware এর উন্নয়নের জন্য কোর কমিটি গঠনপূর্বক Prisoner`s Risk and Need Assessment Tools প্রস্তুত করা হয়েছে।


বন্দি সংশোধন  পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৫৯ টি কারাগারের ১০০০ জন বন্দি পোষ্যকে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হয়।


কারাগারে আটক বন্দিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশ ও বিদেশের শ্রম বাজারের চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে যুগপোযোগি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও সনদ প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে ৩৮ টি কারাগারে ৩৯টি ট্রেডে বন্দিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। জানুয়ারি, ২০১৬ হতে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ৬৩,১৯৩ জন বন্দিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। যা কারামুক্তির পর সমাজে পুনর্বাসন ও জীবিকা নির্বাহে সহায়ক হবে।


কারা বন্দিদের সংশোধন ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কারাগারে আটক কয়েদি বন্দিদের শ্রমে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর বিক্রয় লব্ধ অর্থ হতে ৫০%  লভ্যাংশ হিসাবে মজুরী প্রদান করা হচ্ছে। এপ্রিল, ২০১৮ হতে মার্চ, ২০২৩ পর্যন্ত ৫৬,৯২৪ জন কয়েদিকে পারিশ্রমিক হিসেবে ১,৫৯,০১,২৩২/- টাকা প্রদান করা হয়েছে।


০৬/০৬/২০১৮ তারিখ হতে কারাগারে আটক বন্দিদের প্রাপ্ত ৩টি  কম্বলের পরিবর্তে ১টি শিমুল তুলার বালিশ প্রদান করা হচ্ছে।


কারাগারসমূহে সরকারি লিগ্যাল এইড সার্ভিস এবং প্যারালিগ্যালের মাধ্যমে বন্দিদের প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।


বন্দি উন্নয়নের অংশ হিসেবে কারাগারে বন্দিদের সকালের নাস্তা রুটি  গুড়ের পরিবর্তে সপ্তাহে দুই দিন খিচুড়ি, এক দিন হালুয়া রুটি ও চার দিন সবজি রুটি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


বিজ্ঞ আদালতগামী বন্দিদের দুপুরের খাবারের জন্য চিড়া ও গুড়ের পরিবর্তে দৈনিক মাথাপিছু ২৬(ছাবিবশ) টাকা হারে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

দৈনন্দিন চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে বিশেষ দিবস/উৎসব উপলক্ষ্যে কারা বন্দিদের  উন্নতমানের খাবার সরবরাহের নিমিত্ত জনপ্রতি বরাদ্দ ৩০/- (ত্রিশ) টাকা হতে ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ ) টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।


কয়েদি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মাসিক মজুরি ২০/- (বিশ) টাকা হতে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


বন্দিদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের জন্য নিয়োজিত ধর্মীয় উপদেষ্টাগণের সম্মানী ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা হতে বৃদ্ধি করে ২০০/- (দুইশত) টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।


পবিত্র রমজান মাসে বন্দিদের ইফাতরির জন্য জনপ্রতি বরাদ্দ ১৫/- (পনেরো) টাকা হতে বৃদ্ধি করে ৩০/- (ত্রিশ) টাকা করা হয়েছে।


কারাগারে আটক বন্দিদের এক কারাগার হতে অন্য কারাগারে স্থানান্তরকালে বন্দি প্রতি খোরাকি ভাতা ১৬/-  (ষোল) টাকা হতে বৃদ্ধি করে ১০০/- (একশত) টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।


পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (সা:) ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বন্দিদের মাঝে উন্নত মানের খাবার পরিবেশনের জন্য মাথাপিছু ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।


দেশেরে কারাগারসমূহে যাতে মাদকদ্রব্য প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বন্দিদের পৃথক ওয়ার্ডে রেখে স্থানীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহায়তায় মাদক বিরোধী মত বিনিময় সভার আয়োজন করে বন্দিদের মাদক গ্রহণে শারীরিক ও মানসিক কুফল সম্পর্কে বিশেষ ধারণ প্রদানসহ মাদকবিরোধী গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
11/10/2023
আর্কাইভ তারিখ
31/07/2024